প্রকাশিত: ০২/০৪/২০১৮ ৫:২৮ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪১ এএম

কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া ::
গত ৩০ অক্টোবর মোবাইল চুরির অভিযোগে ১১ বছরের শিশু তারেককে উখিয়ার মুহুরী পাড়া আমতলী এলাকায় জনসম্মুখে বরবরোচিত নির্যাতন চালায় আকতার ও ফিরোজসহ অজ্ঞাত নামা আরো কয়েকজন। প্রথমে তারেককে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করলে সে মাটিতে লুট পড়ে। এক পর্যায়ে তারা আহত তারেককে প্রকাশ্যে পায়ুপথে গরম ডিম ঢুকিয়ে দিলে সে গুরুতর আহত হয় এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তারেককে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।

শিশুটির অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় শিশুটির পরিবার গত ০৫ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে ০৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৪ (২) (খ)/৭/৩০ ও দি পিনাল কোড এর ৪৪৮/৪২৭/ ৩৪ ধারা মোতাবেক কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি শিশু নির্যাতন মামলা রুজু করেন। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই চা ল্যকর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার র‌্যাব-৭ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার ০১ নং আসামী আক্তার কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানাধীন মুহুরীপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ০২ এপ্রিল গভীর রাতে কক্সবাজার র‌্যাব-৭ এর মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল উক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামী আক্তার (২৯) কে গ্রেফতার করে। সে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের মুহুরী পাড়া গ্রামের রশিদ আহাম্মদের ছেলে বলে জানা যায়।

পাঠকের মতামত